গ্যারেথ সাউথগেটকে বলা চলে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে ধারাবাহিক কোচ। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে না পারলেও তার অধীনেই শিরোপার সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিল থ্রি লায়ন্সরা। ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পাশাপাশি ইংল্যান্ডকে টানা দুবার ইউরোর ফাইনালেও তুলেছেন সাউথগেট।
তবে দুর্ভাগা সাউথগেট নিজের দায় মোচন করতে পারেননি। ১৯৯৬ সালে ইউরোর সেমিফাইনালে পেনাল্টি মিস করেছিলেন। এরপর কোচ হিসেবে সেই দায় মোচনের খুব কাছেই ছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হয়নি। ২০২১ ইউরোতে জর্ডান পিকফোর্ডের বীরত্বের পরেও দলের তিন তারকার পেনাল্টি মিসে শ্যুটআউটে হারতে হয় ইংল্যান্ডকে।
১৯৬৬ বিশ্বকাপে স্যার আলফ রামসির পর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডকে এবার বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালেও তুলেছিলেন সাউথগেট। তবে রোববার বার্লিনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে ২-১ গোলের হারে আরও একবার হতাশ হতে হয় তাকে।
বুধবার নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়ে সাউথগেট বলেছেন, ‘এখন নতুন একটি অধ্যায়ের জন্য পরিবর্তনের সময়। বার্লিনে স্পেনের বিপক্ষে রোববারের ফাইনালটি ছিল ইংল্যান্ড কোচ হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ। একজন গর্বিত ইংরেজ হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা এবং ইংল্যান্ডের কোচ হওয়া আমার জন্য সারা জীবনের সম্মান। এটা ছিল আমার কাছে সবকিছু। আমিও সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি।’
গ্যারেথ সাউথগেটের ৮ বছর মেয়াদে তার অধীনে ১০২ ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। চারটি বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড খেলেছে তার অধীনে। তাতে বেশ ধারাবাহিকতাই দেখিয়েছেন সাবেক এই সেন্টারব্যাক।
কিন্তু ৫৮ বছরের শিরোপাখরা কাটাতে পারেনি ইংল্যান্ড। নিজের ট্যাকটিক্সের জন্য বরাবরই সমালোচিত হয়েছেন এই কোচ। যদিও নিজের খেলোয়াড়দের ওপর ঠিকই ভরসা রেখেছিলেন তিনি। ফলাফলও বের করে এনেছিলেন। ফাইনালে ওঠার পর অবশ্য ইংলিশ সমর্থকরা ঠিকই স্বাগত জানিয়েছিলেন তাকে।
ইংল্যান্ড সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে সাউথগেট বলেছেন, ‘আমাদের সমর্থক বিশ্বের সেরা। তাদের সমর্থন আমার কাছে সবকিছু। আমি সব সময় ইংল্যান্ডের সমর্থকই থাকব। আশা করছি, খেলোয়াড়েরা আরও দারুণ সব স্মৃতির জন্ম দিয়ে জাতিকে উদ্দীপ্ত করবে যেটা তারা পারে। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ ইংল্যান্ড।’