কোটা সংস্কার নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। একবার সরকার আমাদের বলছে আদালতের রায়ে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারবো না, আবার আদালত বলছেন সরকার চাইলে কোটা সংস্কার করা যাবে। আমরা চাই আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া হোক।
শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল চট্টগ্রামে লংমার্চ শেষে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।
সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবি ও আন্দোলনরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়।
গতকাল বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ লংমার্চ করেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। তারা ষোলশহর রেল স্টেশন হয়ে ২ নম্বর গেট, চকবাজার, জামল খান, কাজীর দেউরি, লালখান, ওয়াসা , জিইসি হয়ে আবার ২ নম্বর গেটে ফিরে এসে লংমার্চ শেষ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার বোনের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই, ‘চট্টগ্রাম-কুমিল্লায় রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না’, ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘লেগেছে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।